সাজেশন


জ্ঞানমূলক প্রশ্নঃ

১। Unicode কী?
উওরঃ Unicode হচ্ছে আলফানিউমেরিক কোড যার পূর্ণরূপ Universal Code। পৃথিবীর সকল ভাষার বর্ণ, সংখ্যা ও চিহ্নসমূহ ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যবহার করার জন্য ইউনিকোড ব্যবহৃত হয়।
২। ASCII কী?
উওরঃ ASCII আধুনিক কম্পিউটারে বহুল ব্যবহৃত ৭/৮ বিটের আলফানিউমেরিক কোড যার পূর্ণরূপ American Standard Code for Information Interchange। কম্পিউটার এবং ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে তথ্য স্থানান্তরের জন্য এই কোড ব্যবহৃত হয়।
৩। Universal Gate কী?
উওরঃ যেসকল গেইট মৌলিক গেইটসহ যেকোন গেইট এবং যেকোন সার্কিট বাস্তবায়ন করতে পারে, তাদেরকে সার্বজনীন গেইট বলে। NAND NOR গেইটকে সার্বজনীন গেইট বলা হয়।
৪। XOR Gate কী?
উওরঃ Exclusive OR গেইটকে সংক্ষেপে XOR গেইট বলা হয়। এটি একটি যৌগিক গেইট যা AND, ORNOT গেইটের সমন্বয়ে তৈরি। এই গেইটের মাধ্যমে বিভিন্ন ইনপুট বিট তুলনা করে আউটপুট সংকেত পাওয়া যায়। ইনপুটে বিজোড় সংখ্যক ১ থাকলে আউটপুট ১ হয়, অন্যথায় ০ হয়। XOR অপারেশনকে চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
৫। Decoder কী?
উওরঃ ডিকোডার এক ধরনের সমবায় সার্কিট বা ডিজিটাল বর্তনী যা ডিজিটাল সিস্টেমের বোধগম্য কোডকে মানুষের বোধগম্য ফরম্যাটে রূপান্তর করে।
৬। Counter কী?
উওরঃ কাউন্টার হলো একগুচ্ছ ফ্লিপ-ফ্লপ এবং লজিক গেইটের সমন্বয়ে গঠিত সার্কিট যা ইনপুট পালসের সংখ্যা গুণতে পারে।
৭। Register কী?
উওরঃ রেজিস্টার হলো একগুচ্ছ ফ্লিপ-ফ্লপ এবং লজিক গেইটের সমন্বয়ে গঠিত সার্কিট যা অস্থায়ী মেমোরি হিসেবে কাজ করে। এর প্রত্যেকটি ফ্লিপ-ফ্লপ একটি বিট সংরক্ষণ করতে পারে।
৮। Bandwidth কী?
উওরঃ এক যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান ডেটা ট্রান্সফার হয় তাকে ব্যান্ডউইথ বলে। অর্থাৎ ডেটা ট্রান্সফারের হারকে ব্যান্ডউইথ বলে।
৯। Modem কী?
উওরঃ মডেম হচ্ছে একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা মডুলেশন ও ডিমডুলেশনের মাধ্যমে এক কম্পিউটারের তথ্যকে অন্য কম্পিউটারে টেলিফোন লাইনের সাহায্যে পৌঁছে দেয়।
১০। Wi-Fi কী?
উওরঃ Wi-Fi শব্দটি Wireless Fidelity শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। ওয়াই-ফাই একটি তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যার মাধ্যমে ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLAN) তৈরি করা যায়।
১১। Tag কী?
উওরঃ HTML এ কোডিং লেখার জন্য < > এবং </> দুইটা চিহ্ন এবং এর মধ্যে কিছু Word যেমন html, head, title, body ইত্যাদি Keyword ব্যবহার করা হয়। < > বা </> চিহ্ন এবং এর মাঝে লেখা একটি Keyword কে একত্রে ট্যাগ বলা হয়।
অথবা, HTML ট্যাগ হলো এক ধরণের লুকায়িত কীওয়ার্ড যা নির্ধারণ করে ব্রাউজার কীভাবে ওয়েবপেজের কনটেন্ট প্রদর্শন এবং ফরম্যাট করবে।
১২। URL কী?
উওরঃ প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটি সুনির্দিষ্ট ও অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস রয়েছে যার সাহায্যে ওয়েবসাইটের পেইজগুলো ব্রাউজ করা যায়; সেই ঠিকানাকে ওয়েব অ্যাড্রেস বলে। ওয়েব অ্যাড্রেস URL নামেও পরিচিত। URL অর্থ Uniform Resource Locator
১৩। IP Address কী?
উওরঃ IP Address এর পূর্নরুপ Internet Protocol Address। ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কম্পিউটার বা যন্ত্রের একটি অদ্বিতীয় অ্যাড্রেস বা ঠিকানা থাকে এই অদ্বিতীয় অ্যাড্রেসকে বলা হয় আইপি অ্যাড্রেস।
১৪। Web Browsing কী?
উওরঃ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সার্ভারে বিভিন্ন ধরনের তথ্য রাখা আছে আর এসব সার্ভারের তথ্যকে ওয়েবপেজ হিসেবে পরিদর্শন করার পদ্ধতিকে বলা হয় ওয়েব ব্রাউজিং।
১৫। Data Transmission Mode কী?
উওরঃ ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিককে বলা হয় ডেটা ট্রান্সমিশন মোড।
১৬। Data Communication কাকে বলে?
উওরঃ এক যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে নির্ভরযোগ্যভাবে তথ্যের আদান-প্রদান বা বিনিময়ই হচ্ছে ডেটা কমিউনিকেশন।
১৭। বুলিয়ান অ্যালজেবরা কাকে বলে?
উওরঃ ১৮৫৪ সালে জর্জ বুলি লজিকের সত্য ও মিথ্যার উপর ভিত্তি করে যে অ্যালজেবরা তৈরি করেন সেই অ্যালজেবরাকে তাঁর নামানুসারে বুলিয়ান অ্যালজেবরা বলে।
১৮। সংখ্যা পদ্ধতির বেজ কী?
উওরঃ একটি সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্নসমূহের মোট সংখ্যাকে ঐ সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি বলে। সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তিকে সাবস্ক্রিপ্ট (সংখ্যার ডানে একটু নিচে) হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
১৯। ওয়েবসাইট কাঠামো কাকে বলে?
উওরঃ ওয়েবসাইটের কাঠামো বলতে বুঝায় ওয়েবসাইটের পেইজগুলো কিভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকবে। যেমনঃ হোম পেইজের সাতে সাব-পেইজগুলো আবার সাব-পেইজগুলো নিজেদের মধ্যে কিভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকবে।
২০। আইওটি কী?
উওরঃ আইওটির সম্পূর্ণ রূপ হচ্ছে ইন্টারনেট অফ থিংস। ইন্টারনেট অফ থিংস মূলত একটি কম্পিউটার কন্সেপ্ট যেখানে প্রত্যেকটি কম্পিউটারকে একসাথে যুক্ত রাখার ব্যাপারে কাজ করে।
২১। অ্যাকচুয়েটর কি?
উওর: অ্যাকচুয়েটর হলো রোবটের হাত-পা অথবা বিশেষভাবে তৈরি কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাড়াচাড়া করার জন্য কতকগুলো বৈদ্যুতিক মোটরের সমন্বয়ে তৈরি বিশেষ ব্যবস্থা।
২২। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট কী?
উওর: যে সকল ওয়েবসাইটের তথ্য সাধারণত পরিবর্তন হয় না তাদেরকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলা হয়। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট শুধু HTML এবং CSS  দিয়েই তৈরি করা যায়।
২৩। ডায়নামিক ওয়েবসাইট কী?
উওর: যে সকল ওয়েবসাইটের তথ্য প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল তাদেরকে ডায়নামিক ওয়েবসাইট বলা হয়। ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য HTML,CSS এর পাশাপাশি PHP বা ASP .NET বা JSP এবং  ডেটাবেজ যেমন- MySQL বা SQL বা  Oracle ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
২৪। ওয়েব বা WWW কী?
উওর: ইন্টারনেট ব্যবহার করে ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নেয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ওয়েব। ওয়েব কে WWW (World Wide Web) ও বলা হয়। তিনটি  প্রযুক্তির সমন্বয়ে ওয়েব গড়ে উঠেছে। যথা-HTML, HTTP ও Web browser
২৫। ক্লাউড কম্পিউটিং কী?
উওর: ক্লাউড কম্পিউটিং হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি বিশেষ পরিসেবা বা একটা ব্যবসায়িক মডেল, যেখানে বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স শেয়ার, কম্পিউটিং সেবা, সার্ভার, স্টোরেজ, সফটওয়্যার প্রভৃতি সেবা সহজে ক্রেতার সুবিধা মতো, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করা বা ভাড়া দেওয়া হয়।

সীমান্ত স্যার (কম্পিউটার প্রকৌশলী)         ||         যোগাযোগঃ ০১৯৩৯ ১২৮৭০৮

অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ

১। "১+১+১+১ = ১" - ব্যাখ্যা করো।
উওরঃ ‘১+১+১+১ = ১’ এক্সপ্রেশনটি যৌক্তিক যোগ নির্দেশ করে যা OR গেট দ্বারা বাস্তবায়ন করা যায়। যৌক্তিক যোগের ক্ষেত্রে যেকোন একটি মান ১ হলেই যৌক্তিক যোগফল ১ হয়। এখানে, ‘১+১+১+১ = ১’ এক্সপ্রেশনটিতে কমপক্ষে একটি মান ১ থাকায় যৌক্তিক যোগফল ১ হয়েছে।
২। দুইটি চলকের জন্য ডি মরগ্যানের উপপাদ্য দুইটি প্রমাণ করো।
উওরঃ 
৩। "৩+৫ = ১০" - ব্যাখ্যা করো।
উওরঃ এটি একটি অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির যোগ। কারণ ৫ ও ৩ যোগ করলে ৮ হয়। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮ নেই তাই যোগফল ৮ থেকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ৮ বিয়োগ করলে পাওয়া যায় ০। যেহেতু একবার বিয়োগ করা হয়েছে তাই ক্যারি ১। অর্থাৎ অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ৫ ও ৩ যোগ করলে ১০ হয়। অন্যভাবে বলা যায় অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ৭ এর পরবর্তী সংখ্যা ১০ বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির সমতুল্য মান ৮ ।
৪। চার বিট রেজিস্টারে চারটি ফ্লিপ–ফ্লপ থাকে– বুঝিয়ে লেখ।
উওরঃ মেমোরি ডিভাইসের ক্ষুদ্রতম একক হলো ফ্লিপ-ফ্লপ। একটি ফ্লিপ-ফ্লপ এক বিট ডেটা ধারণ করতে পারে। রেজিস্টার একগুচ্ছ ফ্লিপ-ফ্লপ এবং গেইট এর সমন্বয়ে গঠিত সার্কিট যেখানে প্রত্যেকটি ফ্লিপ ফ্লপ একটি করে বাইনারি বিট ধারণ করে থাকে। n-বিট রেজিস্টারে n সংখ্যক ফ্লিপ-ফ্লপ থাকে এবং n-বিট বাইনারি তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে। এজন্য বলা যায়- চার-বিট রেজিস্টারে চারটি ফ্লিপ-ফ্লপ থাকে।
৫। হোস্টিং কেন প্রয়োজন হয় ব্যাখ্যা করো।
উওরঃ একটি ওয়েবসাইটকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা ইন্টারনেটে প্রকাশের প্রক্রিয়াকেই ওয়েবসাইট পাবলিশিং বলা হয়ে থাকে। অপরদিকে, ওয়েবসাইটের জন্য তৈরিকৃত ওয়েবপেইজগুলোকে একটি রেজিস্ট্রেশনকৃত ডোমেইন এর আন্ডারে কোন ওয়েব সার্ভারে হোস্ট করাকে ওয়েবপেইজ হোস্টিং বলা হয়। যখন কোন লোকাল কম্পিউটারে ওয়েবপেইজ তৈরি করা হয়, সেই ওয়েবপেইজগুলো অন্য কোন ডিভাইস থেকে এক্সেস করা যায় না। পেইজগুলো অন্য ডিভাইস থেকে এক্সেস করার জন্য পেইজগুলোকে কোনো সার্ভারে রাখতে হয়। তাই বলা যায়- ওয়েব হোস্টিং ওয়েবসাইট পাবলিশিং এর একটি গুরুত্বপূর্ন ধাপ।
৬। ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশন করতে হয় কেন?
উওরঃ প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটি স্বতন্ত্র নাম থাকতে হয়,যার সাহায্যে ওয়েবসাইটটি বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে খুঁজে পাওয়া যায়। এই স্বতন্ত্র নামকে ডোমেইন নেইম বলা হয়। যেহেতু প্রতিটি ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেইম স্বতন্ত্র হতে হয়, তাই এটি একটি মাত্র সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রন করতে হয়। Internet Corporation for Assigned Names and Numbers নামক সংস্থাটি ডোমেইন নেইম নিয়ন্ত্রন করে থাকে। এই সংস্থার অধীনে বিভিন্ন কোম্পানি নির্দিস্ট ফি এর বিনিময়ে ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রতিটি ওয়েবসাইটের স্বতন্ত্র নামের জন্যই ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।
৭। অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যাখ্যা করো।
উওরঃ অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা প্রেরক হতে প্রাপকে অসম সময়ের ব্যবধানে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার পাঠানো হয়। যখনই ডেটা প্রচার করা হয় তখন এটি একবারে পাঠানো হয়। সুতরাং ডেটা সংরক্ষণের জন্য প্রেরকের কোনও মেমোরির প্রয়োজন হয় না। সাধারণত ডেটা বাইট এর সাথে একটি স্টার্ট বিট এবং একটি স্টপ বিট যুক্ত করা হয় এবং মোট 10 বিট ডেটা প্রেরণ করা হয়। কখনও কখনও ত্রুটি পরীক্ষা করার জন্য স্টপ বিটের আগে একটি প্যারিটি বিট যুক্ত করা হয়। এ ধরনের ট্রান্সমিশনে প্রেরক যে কোনো সময় ডেটা প্রেরণ করতে পারে এবং প্রাপক তা গ্রহণ করতে পারে। প্রেরক এবং প্রাপককে সিনক্রোনাইজ করার জন্য এবং ডেটা সঠিকভাবে প্রাপক প্রান্তে পৌছেছে তা নিশ্চিত করার জন্য ডেটা বাইটগুলোর মধ্যে স্টপ বিট এবং স্টার্ট বিট ব্যবহার করা হয়। ডেটা বিট প্রেরণ এবং গ্রহণের মধ্যবর্তী সময় সমান নয়, তাই ডেটা ট্রান্সমিশনে সময় দেওয়ার জন্য ফাঁকা (gaps) ব্যবহৃত হয়।
৮। কো-এক্সিয়েল ক্যাবলের গঠন ব্যাখ্যা করো।
উওরঃ দুটি তড়িৎ পরিবাহী ও দুটি তড়িৎ অপরিবাহী স্তরের সাহায্যে কো-এক্সিয়াল ক্যাবল তৈরি করা হয়। এই ক্যাবলে দুটি তড়িৎ পরিবাহী স্তর একই অক্ষ বরাবর থাকে বলে একে কো-এক্সিয়াল ক্যাবল বলা হয়। ভেতরের তড়িৎ পরিবাহী তারটি কপার ওয়্যার যার মধ্য দিয়ে তড়িৎ সিগন্যাল প্রবাহিত হয়। ভেতরের পরিবাহী ও বাইরের পরিবাহী তারকে পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝখানে অন্তরক পদার্থ হিসেবে ফোমের ইন্সুলেশন ব্যবহার করা হয় এবং বাইরের পরিবাহী তারকে প্লাস্টিকের জ্যাকেট দ্বারা ডেকে রাখা হয়।
কো-এক্সিয়েল ক্যাবলের বিভিন্ন অংশ-
👉 কপার ওয়্যার: এর মধ্য দিয়ে ডেটা প্রবাহিত হয়।
👉 ফোমের ইনসুলেশন: কপার ওয়্যার যাতে বেঁকে বা কুঁচকে না যায় সেজন্য ব্যবহৃত হয়।
👉 কপার মেস: বাইরের তাপ, চাপ ও EMI থেকে কপার ওয়্যারকে রক্ষা করে যাতে নির্বিঘ্নে ডেটা চলাচল করতে পারে অর্থাৎ ইহা ভিতরের তারে প্রেরিত উপাত্ত সিগনালের ব্যাতিচার রোধ করে।
👉 আউট সাইড ইনসুলেশন: তার যাতে বাহিরের আঘাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য প্ল্যাস্টিকের জ্যাকেট ব্যবহৃত হয়।
৯। ডেটা ব্লক বা প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিট হয় - ব্যাখ্যা করো।
উওরঃ সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে ডেটা ব্লক বা প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিট হয়। এ পদ্ধতিতে প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টেরেজ ডিভাইসে ডেটাকে সংরক্ষন করা হয় এবং ডেটা সমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে সমান বিরতিতে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। প্রতিটি ব্লকে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১৩২ টি ক্যারেক্টার থাকে।  তবে ব্লকে ক্যারেক্টার  128, 256, 512, 1024 সংখ্যক হতে পারে। দুটি ব্লকের মাঝখানে সময় বিরতি সমান হয়ে থাকে।
১০। টপোলজি কী? প্রকারভেদ চিত্রসহ বর্ণনা করো।
উওরঃ একটি নেটওয়ার্কের ডিভাইসসমূহ একে অপরের সাথে কীভাবে সংযুক্ত, তার জ্যামিতিক উপস্থাপনা নেটওয়ার্ক টপোলজি হিসাবে পরিচিত
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে নিম্ন বর্ণিত ছয় ধরণের টপোলজি থাকে-

বাস টপোলজি: বাস টপোলজির ক্ষেত্রে, সকল ডিভাইসসমূহ একটি একক সংযোগ লাইনের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই সংযোগ লাইনকে বাস (Bus) বলা হয় যা ব্যাকবোন হিসাবেও পরিচিত। এই সংযোগ লাইনের দুপ্রান্তে দুটি টার্মিনেটর থাকে। প্রতিটি নোড (নেটওয়ার্কে সংযুক্ত প্রতিটি ডিভাইসকে নোড বলা হয়) ড্রপ ক্যাবল দ্বারা বা সরাসরি ব্যাকবোন তারের সাথে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহ দ্বিমুখী হয়ে থাকে। যখন একটি নোড অপর একটি নোডে বার্তা প্রেরণ করতে চায়, তখন ডেটা এবং প্রাপকের তথ্য কমন সংযোগ লাইনে প্রেরণ করে। কমন লাইনে সংযুক্ত সকল নোড বার্তাটি পায় অর্থাৎ ব্রডকাস্ট হয় এবং কেবলমাত্র প্রাপক তা গ্রহণ করে। একাধিক হোস্ট একই সাথে ডেটা প্রেরণ করার সময় বাস টপোলজির সমস্যা হতে পারে। সুতরাং, বাস টপোলজি হয় CSMA/CD প্রযুক্তি ব্যবহার করে বা কোনও হোস্টকে সমস্যা সমাধানের জন্য বাস মাস্টার হিসাবে স্বীকৃতি দেয়।

রিং টপোলজি: রিং টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার বা নোড ক্যাবলের সাহায্যে তার পার্শ্ববর্তী দুটি কম্পিউটারের সাথে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে একটি লুপ বা রিং গঠন করে। এভাবে রিংয়ের সর্বশেষ কম্পিউটার প্রথমটির সাথে যুক্ত হয়। এই টপোলজিতে সংকেত একটি নির্দিষ্ট দিকে ট্রান্সমিশন হয়।  টপোলজির প্রতিটি ডিভিাইসে একটি রিসিভার এবং একটি ট্রান্সমিটার থাকে যা রিপিটারের কাজ করে। এক্ষেত্রে রিপিটারের দায়িত্ব হচ্ছে সংকেত একটি কম্পিউটার থেকে তার পরের কম্পিউটারে পৌছেঁ দেওয়া। একটি নোড সংকেত পাঠালে তা পরবর্তী নোডের কাছে যায়। সংকেতটি ঐ নোডের জন্য হলে সে নিজে গ্রহণ করে, অন্যথায় পরবর্তী নোডে প্রেরণ করে। সংকেত কাংখিত নোডে না পৌঁছা পর্যন্ত বৃত্তাকার পথে চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে কাংখিত নোডে পৌঁছে।

স্টার টপোলজি: স্টার টপোলজির সকল হোস্ট/নোড একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত থাকে, কেন্দ্রীয় ডিভাইসটি হাব, সুইচ বা সার্ভার কম্পিউটারও হতে পারে। অর্থাৎ নোড এবং কেন্দ্রীয় ডিভাইসের মধ্যে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট সংযোগ থাকে। এই টপোলজিতে সংকেত প্রবাহ দ্বিমুখী হয়। কম্পিউটারগুলো সংযোগের জন্য কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহৃত হয়। স্টার টপোলজিতে হাব বা সুইচগুলো মূলত ফিজিক্যাল সংযোগ ডিভাইস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। স্টার টপোলজি নেটওয়ার্ক বাস্তবায়নে সর্বাধিক জনপ্রিয় টপোলজি। এই টপোলজিতে কোনো প্রেরক নোড সংকেত প্রেরণ করতে চাইলে তা প্রথমে হাব বা সুইচে পাঠিয়ে দেয়। এরপর হাব বা সুইচ সেই সংকেতকে প্রাপক নোডে পাঠিয়ে দেয়।

ট্রি টপোলজি: ট্রি টপোলজি হায়ারার্কিকাল টপোলজি নামেও পরিচিত, এটি বর্তমানে সর্বাধিক ব্যবহৃত টপোলজিগুলোর মধ্যে একটি। ট্রি টপোলজি বাস টপোলজি এবং স্টার টপোলজির বৈশিষ্ট্যগুলোকে একত্রিত করে। এই টপোলজিটি নেটওয়ার্ককে একাধিক স্তরে বিভক্ত করে, যেখানে প্রথম স্তরের কম্পিউটারগুলো দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়। একইভাবে দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়, এভাবে স্তরে স্তরে বিভক্ত থাকে। এক্ষেত্রে একাধিক হাব বা সুইচ ব্যবহার করে সকল কম্পিউটারগুলো একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয় যাকে রুট নোড বলা হয়। রুট নোড হিসেবে অনেক সময় সার্ভারও থাকতে পারে। এই টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে গাছের শাখা-প্রশাখার মতো বা বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত থাকে বলে ট্রি টপোলজি বলা হয়। সকল প্রতিবেশী হোস্টের মধ্যে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট সংযোগ রয়েছে।

মেশ  টপোলজি: মেশ টপোলজির প্রতিটি নোড নেটওয়ার্কের অধীনস্থ অন্যান্য সকল নোডের সাথে সরাসরি (পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট) সংযুক্ত থাকে অথবা কেবল কয়েকটি নোডের সাথে সরাসরি (পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট) সংযুক্ত থাকে। এতে কেন্দ্রীয় ডিভাইস বা সার্ভার এর প্রয়োজন হয় না।  এই টপোলজিতে n সংখ্যক নোডের জন্য প্রতিটি নোডে (n-1) টি সংযোগের প্রয়োজন হয় এবং নেটওয়ার্কের তারের সংখ্যা = (n * (n-1)) / 2 ।

হাইব্রিড টপোলজি: ভিন্ন ধরণের একাধিক টপোলজির সমন্বয়ে যদি নতুন এক ধরণের টপোলজি গঠিত হয় তখন নতুন টপোলজিটিকে হাইব্রিড টপোলজি বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, রুপালী ব্যাংকের একটি শাখায় যদি রিং টপোলজি এবং রুপালী ব্যাংকের অন্য শাখায় বাস টপোলজির উপস্থিতি থাকে তবে এই দুটি টপোলজিকে সংযুক্ত করার ফলে হাইব্রিড টপোলজি গঠিত হবে। ভিন্ন ধরণের একাধিক টপোলজির সমন্বয়ে যদি নতুন এক ধরণের টপোলজি গঠিত না হয় তখন নতুন টপোলজিটিকে হাইব্রিড টপোলজি বলা হয় না। উদাহরণস্বরূপ, রুপালী ব্যাংকের একটি শাখায় যদি স্টার টপোলজি এবং রুপালী ব্যাংকের অন্য শাখায় ট্রি টপোলজির উপস্থিতি থাকে তবে এই দুটি টপোলজিকে সংযুক্ত করার ফলে ট্রি টপোলজিই গঠিত হবে। ইন্টারনেটকে হাইব্রিড টপোলজি হিসেবে অভিহিত করা যায়। ইন্টারনেট একটি হাইব্রিড নেটওয়ার্ক, কেননা ইন্টারনেট হলো বৃহৎ পরিসরের একটি নেটওয়ার্ক যেখানে সব ধরনের টপোলজির মিশ্রণ দেখা যায়।

১১। আইপি অ্যাড্রেস এবং ডোমেইন নেইম এক নয়- ব্যাখ্যা করো।
উওরঃ ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কম্পিউটার বা যন্ত্রের এবং ওয়েবসাইটের একটি অদ্বিতীয় ঠিকানা থাকে এই ঠিকানাকে বলা হয় আইপি অ্যাড্রেস। অপরদিকে ডোমেইন নেইম হচ্ছে একটি স্বতন্ত্র টেক্সট অ্যাড্রেস যা আইপি অ্যাড্রেস কে প্রতিনিধিত্ব করে। যেমন www.facebook.com এর পরিবর্তে 31.13.78.35 এই আইপি অ্যাড্রেস এর মাধ্যমেও Facebook এর ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা যায়। অর্থাৎ আইপি অ্যাড্রেস 31.13.78.35 ডোমেইন নেইম Facebook কে প্রতিনিধিত্ব করছে। মানুষ আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার না করে ডোমেইন নেইম ব্যবহার করে। কারণ একসাথে অনেক গুলো আইপি অ্যাড্রেস মনে রাখা কষ্টকর কিন্তু ডোমেইন নেইম মনে রাখা সহজ। তাই বলা যায়, IP Address এর চেয়ে Domain Name ব্যবহার সুবিধাজনক।
১২। ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয় কেন?
উওরঃ ক্লাউড কম্পিটিং হলো একগুচ্ছ রিমোট সার্ভারের কম্পিউটার রিসোর্স। নিম্নলিখিত সুবিধার কারণে ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করা হয়-
👉 সার্বক্ষণিক ব্যবহারযোগ্য।
👉 যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে তথ্য আপলোড ও ডাউনলোড করা যায়।
👉 হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, লাইসেন্স ফি এর জন্য অধিক অর্থ ব্যয় করতে হয় না।
👉 কম সংখ্যক জনবল নিয়ে অধিক কাজ করার সুবিধা।
👉 পরিচালনা ব্যয় কম এবং কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না।
👉 স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট হয় এবং সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
১৩। NOR গেট XNOR গেট হিসেবে কাজ করে- ব্যাখ্যা করো।
উওরঃ 
১৪। "৯৬০০ bps" - ব্যাখ্যা করো।
উওরঃ ৯৬০০ bps বলতে বুঝায়, কোন কমিউনিকেশন সিস্টেমে প্রতি সেকেন্ডে ৯৬০০ বিট ডেটা ট্রান্সফার হয়। প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান ডেটা ট্রান্সফার হয় তাকে ব্যান্ডউইথ বা ট্রান্সমিশন স্পিড বলে। ৯৬০০ bps ভয়েস ব্যান্ড নির্দেশ করে। কারণ, ভয়েস ব্যান্ডের ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড এর রেঞ্জ হলো ১২০০bps – ৯৬০০ bps। ভয়েস ব্যান্ড টেলিফোনে বেশি ব্যবহৃত হয়।
১৫। ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল ই এম আই (EMI) মুক্ত কেন?
উওরঃ অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হল এক ধরনের আলো পরিবাহী তার যা এক বা একাধিক অপটিক্যাল ফাইবার সমন্বয়ে তৈরি। অপটিক্যাল ফাইবার কাঁচ অথবা প্লাস্টিকের তৈরি এক ধরনের ডাই-ইলেকট্রিক (অন্তরক) পদার্থ দ্বারা তৈরি,যা আলো পরিবহনে সক্ষম। এটি ইলেকট্রিক সিগনালের পরিবর্তে আলোক বা লাইট সিগন্যাল ট্রান্সমিট করার ফলে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলে কোনো তড়িৎ এর উপস্থিতি নেই। অর্থাৎ অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলে তড়িৎ এর উপস্থিতি না থাকার কারণে ক্যাবলটি ইএমআই (EMI) মুক্ত।

সীমান্ত স্যার (কম্পিউটার প্রকৌশলী)         ||         যোগাযোগঃ ০১৯৩৯ ১২৮৭০৮

ওয়েবসাইট পাবলিশিং কি? ওয়েবসাইট পাবলিশিং এর বিভিন্ন ধাপ সমূহ ব্যাখ্যা করো

ওয়েবসাইট পাবলিশিং
একটি ওয়েবসাইট তৈরির মূল উদ্দেশ্য হল সেটি যেন বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মাধ্যমে ব্যবহারকারী দেখতে পারে। একটি ওয়েবসাইটকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা ইন্টারনেটে প্রকাশের প্রক্রিয়াকেই ওয়েব সাইট পাবলিশিং বলা হয়ে থাকে। এজন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর সেটিকে সার্ভারে সংরক্ষন করতে হয় (যেটিকে হোস্টিং বলা হয়ে থাকে) এবং পাশাপাশি এটিকে সনাক্ত করার জন্য এর অদ্বিতীয় নামকরণের প্রয়োজন হয় (যেটি ডোমেইন নেম হিসাবে অভিহিত)।

কোনো ওয়েবসাইট পাবলিশ করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো সম্পন্ন করতে হয়-
১। ওয়েবপেইজ ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট:
ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলো বিভিন্ন পেজে কিভাবে প্রদর্শিত হবে তা ডিজাইন করাকে ওয়েবপেইজ ডিজাইন বলা হয়। ওয়েবপেইজ ডিজাইন সাধারণত গ্রাফিক্স সফটওয়্যার যেমন ফটোশপ দিয়ে করা হয় এবং তা পরবর্তীতে HTML ব্যবহার করে ওয়েবপেইজ তৈরি করা হয়। এছাডা বিভিন্ন সার্ভার সাইট স্ক্রিপটিং ভাষা ব্যবহার করে ডেটাবেস থেকে ডেটা ওয়েবপেইজে প্রদর্শন করা হয়। অর্থাৎ এই ধাপে ওয়েবপেইজ ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট করে একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়।

২। ডেমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশন:
প্রথমে ওয়েবসাইটের সুন্দর একটি নাম যা সহজেই মনে রাখা যায় এবং অর্থবোধক হয় তা নির্বাচন করে সেই নামের ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে। কোম্পানিগুলোর নিজস্ব কিছু নিয়মকানুন এবং ফি নির্ধারিত আছে। যে কেউ ফি পরিশোধ করে পছন্দ মতো নামে ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশন করতে পারে। রেজিস্ট্রেশনের পূর্বে যেসব বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। যে নামে রেজিস্ট্রেশন করতে ইচ্ছুক সে নাম অন্য কেউ ব্যবহার করে কিনা? একই নামে দুটি রেজিস্ট্রেশন হয় না। রেজিস্ট্রেশনটি নিজের নামে নাকি কোম্পানির নামে হবে। ডোমেইনের সকল প্রশাসনিক ক্ষমতা, বিল ইত্যাদি কার নামে হবে। কার মাধ্যমে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করানো হবে। বিলিং পদ্ধতি কী হবে তা নির্ধারণ করতে হবে।

৩। ওয়েব সার্ভারে ওয়েবপেইজ হোস্টিং:
ওয়েবসাইটের জন্য তৈরিকৃত ওয়েবপেইজ গুলোকে একটি রেজিস্ট্রেশনকৃত ডোমেইন এর সাপেক্ষে কোন ওয়েব সার্ভারে হোস্ট করাকে ওয়েবপেইজ হোস্টিং বলা হয়। ওয়েব সার্ভার বলতে বিশেষ ধরনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারকে বুঝায় যার সাহায্যে ঐ সার্ভারে রাখা কোনো উপাত্ত/তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক্সেস করা যায়। সারা বিশ্বে অনেক হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইডার রয়েছে যারা অর্থের বিনিময়ে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী হোস্টিং সার্ভিস প্রদান করে। অর্থের বিনিময়ের পাশাপাশি বিভিন্ন কম্পানি আছে যারা ফ্রি হোস্টিং সার্ভিস প্রদান করে।

৪। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন:
হোস্টিংকৃত ওয়েবসাইটটি আরো বেশি প্রচারমুখী করার জন্য ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত করতে হয়। এটা একটি অপশনাল ধাপ।

কেন NOR ও NAND গেইটকে সর্বজনীন (universal) গেইট বলা হয়?

যে সকল গেইটের সাহায্যে মৌলিক গেইটসহ অন্যান্য সকল প্রকার গেইট বা ফাংশন তৈরি বা বাস্তবায়ন করা যায় সেই সমস্ত গেইটকে সর্বজনীন গেইট বলে। মৌলিক গেইট দ্বারা অন্যান্য সকল প্রকার গেইট তৈরি বা বাস্তবায়ন করা যায় সেইভাবে NOR ও NAND গেইট দিয়েও মৌলিক গেইটসহ অন্যান্য সকল গেইট বা ফাংশনকে প্রকাশ করা যায়। এই জন্য NOR ও NAND গেইটকে সর্বজনীন (universal) গেইট বলা হয়।