ওয়েবপেইজ ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়-
- তথ্য সংগ্রহ
- পরিকল্পনা
- ইনফরমেশন আর্কিটেকচার
- ডিজাইন
- উন্নয়ন
- টেস্টিং
- রক্ষণাবেক্ষণ
পরিকল্পনাঃ প্রথমেই ওয়েবসাইট তৈরির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্দিস্ট করতে হয়। ওয়েবসাইটে কী কী বিষয়বস্তু থাকবে তার পরিকল্পনা করা। কোন লেভেলের ব্যবহারকারী টার্গেট তার পরিকল্পনা করা ইত্যাদি কাজগুলো এই ধাপে সম্পন্ন করা হয়।
ইনফরমেশন আর্কিটেকচারঃ এই ধাপে ওয়েবসাইটের জন্য ওয়েবসাইট কাঠামো নির্ধারন করা হয়। এক্ষেত্রে কোন ধরণের ওয়েবসাইট তার উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইটের কাঠামো নির্ধারন করা হয়।
ডিজাইনঃ এই ধাপে ওয়েবসাইটের পেইজগুলোর লে-আউট কেমন হবে তা নির্ধারন করা হয়। অর্থাৎ তথ্যগুলো ওয়েবপেইজের কোন অংশে কীভাবে প্রদর্শিত হবে তা নির্ধারন করা। এই কাজটি বিভিন্ন ডিজাইনিং টুল যেমন- ফটোশপ, এক্সেল ইত্যাদির সাহায্যে করা হয়।
উন্নয়নঃ পূর্ববর্তী ধাপে করা ডিজাইন দেখে HTML ব্যবহার করে ওয়েবপেইজের মূল কাঠামো তৈরি করা হয়। CSS ব্যবহার করে পেইজগুলোর স্টাইলিং নির্ধারন করা হয়। এছাড়া যদি ওয়েবসাইটটি ডাইনামিক হয় তাহলে ডেটাবেজ তৈরি ও সার্ভার-সাইড স্ক্রিপ্টিং ভাষা ব্যবহার করে ডেটাবেজের সাথে কানেকশন তৈরি করে একটি পূর্ণাংগ ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়।
টেস্টিংঃ এই ধাপে ওয়েবসাইট তৈরির পর বিভিন্ন ব্রাউজারের সাহায্যে আউটপুট চেক করা হয়। এক্ষেত্রে ওয়েবপেইজ গুলোর লে-আউট সকল ব্রাউজারে একই দেখায় কিনা তা চেক করা, ওয়েবপেইজ লোডিং টাইম পর্যবেক্ষন করা, ওয়েবপেইজগুলো রেস্পসিভ কিনা তা চেক করা ইত্যাদি কাজগুলো এই ধাপে করা হয়।
রক্ষণাবেক্ষণঃ এই ধাপে একটি ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা এবং ব্যাকআপ নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া যুগোপযোগী করে ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হয়।